নিজস্ব প্রতিবেদক:
পুলিশ সপ্তাহ ২০২৩ উপলক্ষে অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ অধিনায়ক, র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর বিপিএম(সাহসকিতা) ও সিনিয়র এএসপি মুরাদ এর পিপিএম পদক প্রাপ্তি।
এরই ধারাবাহিকতায় পুলিশ সপ্তাহ-২০২৩ উপলক্ষে অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ র্যাব-৭, চট্টগ্রামের অধিনায়ক বিএ-৬৪০০ লেঃ কর্নেল এম এ ইউসুফ, পিএসসিকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম),সাহসিকতা এবং অপারেশনস্ এবং জঙ্গি সেল অফিসার বিপি-৯২১৮২২০৫৫৮ সিনিয়র এএসপি মোঃ রায়হান উদ্দিন মোরাদকে রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) প্রদান করা হয়।
বিএ-৬৪০০ লেঃ কর্নেল এম এ ইউসুফ, পিএসসি র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর অধিনায়ক হিসাবে যোগদানের পর থেকে তার সুযোগ্য নেতৃত্ব, সঠিক দিকনির্দেশনা, দুঃসাহসিক আভিযানিক পরিকল্পনা এবং যেকোন উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলায় অসাধারণ সাফল্য র্যাবের ভাবমূর্তিকে সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
তিনি শুধু নিজেকে সাহসিকতাপূর্ণ অভিযানে সম্পৃক্তই করেননি বরং সামনে থেকে নেতৃত্বদানের মাধ্যমে সরেজমিনে অভিযান পরিচালনা করেন। তার অসংখ্য সফল অভিযানের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপুর্ণ অভিযান জঙ্গি বিরোধী অভিযান।
তিনি বিগত ৩ মাসেরও অধিক সময় ধরে বান্দরবানের দূর্গম পাহাড়ী অঞ্চলে সক্রিয়ভাবে অভিযান পরিচালনা করে বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম বড় জঙ্গি বিরোধী অভিযানে সূরা সদস্যসহ অসংখ্য জঙ্গি গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছেন। মাদক বিরোধী অভিযানে তাঁর সুদক্ষ পরিকল্পনা ও নেতৃত্বে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গত এক বছরে ১০.৭৩৮ কেজি আফিম, ৪৩ লক্ষ ৫০০ পিস ইয়াবা, ১৯,৩৩৫ বোতল ফেন্সিডিল, ৭,০৪০ কেজি গাঁজা, ১,২৩১ বোতল বিদেশী মদ, ৬৮১ ক্যান বিয়ার এবং ৯৬,০০০ লিটার চোলাইমদসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য ধ্বংস ও উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। বিগত ০১ বছওে তার সুদক্ষ পরিকল্পনা ও নেতৃত্বে র্যাব-৭ বেশ কয়েকটি অস্ত্র তৈরীর কারখানা ধ্বংসসহ ২১৫ টি অগ্নেয়াস্ত্র ও ৮১০ রাউন্ড গুলি/কার্তূজ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়াও চট্টগ্রামের ভয়ংকর জঙ্গল সলিমপুর তথা চট্টগ্রামের ভিতরে আরেক চট্টগ্রাম নামক স্থানে তাঁর নেতৃত্বে গত ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ইং তারিখে অভিযান পরিচালনা করে অন্যতম গডফাদার ও শীর্ষ সন্ত্রাসী মশিউর ও তার বাহিনীকে গ্রেফতার করে তাদের কাছ থেকে ১৬ টি আগ্নেয়াস্ত্র (০২ টি বিদেশী পিস্তল, ১৪ টি ওয়ানশুটারগান) এবং ৪০ রাউন্ড গুলি/কার্তুজ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে; যার ফলে বর্তমানে সেখানে প্রশাসন কর্তৃক বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে এবং জনসাধারণের মাঝে শান্তি ফিরে এসেছে। তাঁর নেতৃত্বে নিয়মিতভাবে জলদস্যু বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে সর্বমোট ৪৮ জন জলদস্যুকে ২৯ টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ (০১ টি এসএমসি, ০১ টি বিদেশী পিস্তল, ২৩ টি ওয়ানশুটারগান, ০১ টি দুনলা বন্দুক, ০৩ টি এসবিবিএল) গ্রেফতার করে সমুদ্রপথ নিরাপদ রাখতে সক্ষম হয়েছেন।
আভিযানিক কর্মকান্ডের পাশাপাশি র্যাব-৭, চট্টগ্রাম বিভিন্ন মানবিক কার্যক্রম করে আসছে। গত ০৪ জুন ২০২২ইং তারিখে সীতাকুন্ড কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকান্ডের দূর্ঘটনায় অধিনায়ক র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এবং সংগীয় র্যাব সদস্য নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে উদ্ধার, আগুন নিয়ন্ত্রণ এবং অগ্নিদগ্ধদের মাঝে রক্তদান কর্মসূচী পরিকল্পনা এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা সেবা তদারকির মাধ্যমে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। গত ২০১৮ এবং ২০২০ সালে র্যাব-৭, পতেঙ্গা, চট্টগ্রামের কাছে বাঁশখালী, মহেশখালী, কুতুবদিয়া এবং পেকুয়া উপকূলীয় এলাকা হতে আত্মসমর্পণকৃত জলদস্যুদেরকে ঈদ এবং বিভিন্ন উৎসবে উপহার সামগ্রী বিতরণ এবং তাদের বর্তমান জীবন যাপনে বিভিন্নভাবে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম সহায়তা প্রদান করে আসছে। অধিনায়ক র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর নেতৃতে বিভিন্ন সময়ে এতিম দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ, বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে আর্থিক সহায়তা প্রদান, শীতবস্ত্র বিতরণ এবং প্রতিবন্ধীদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও তার নেতৃত্বে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম চলমান করোনাকালীন সময়ে জনসাধরণকে সচেতন করাসহ বিভিন্ন সহায়তামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে।